পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম
পায়খানা কষা আমাদের জন্য একটা কমন জটিলতা। আপনি যদি এই সমস্যাতে ভুগে থাকেন তাহলে আজকের "পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম" পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এই পোস্টে পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম জানার পাশাপাশি এই ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও জানাবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনেনেই পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম জানার আগে আমাদের জানতে হবে পায়খানা কষা হওয়ার কারণ গুলো। এছাড়া পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার কারণে আমাদের এটাও জানতে হবে যে পায়খানা ক্লিয়ার করার কোনো ঘরোয়া উপায় আছে কি না। সাধারণত কোনো রোগের ঘরোয়া উপায়ের সমাধানে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম
কি খেলে পায়খানা নরম হবে
শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত পায়খানা হওয়া প্রয়োজন। আমাদের নিজেদের দোষে অনেক সময় আমরা পায়খানা কষা করে ফেলি। অনেকে জানে না পায়খানা কষা হলে কি কি সমস্যা হতে পারে। তাই পায়খানা কষা হলে তারা সেটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। পায়খানা কষা হলে পাইলস, গেজ, এনাল ফিসার সহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। আর এসব রোগ জীবনকে করে তোলে আসহনীয়।
পায়খানার কষা দূর করতে নিচের খাবার গুলো খাওয়া যেতে পারে। এ খাবার গুলো পায়খানা নরম করতে সাহায্য করে।
- আপেল
- কলা
- বেল
- পেঁপে
- পালং শাক
- ব্রকলি
- ওটামিল
- ব্রাউন রাইস
- বার্লি
- বেশি বেশি পানি পান করা
পায়খানা ক্লিয়ার করার ঘরোয়া উপায়
পুর্বেই বলেছি যে পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম জানার আগে আমাদের জানতে হবে পায়খানা ক্লিয়ার করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। পায়খানা ক্লিয়ার করার উওয়ের ভেতর আপনি শুরুতেই আপনার খাবার তালিকাতে বেশি ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন। ফাইবার যুক্ত খাবার পায়খনাকে নরম করতে সাহায্য করে। এতে করে পায়খানা কষা হয় না সেই সাথে পাইখানা করতে কষ্ট হয় না।
তাহলে চলুন জেনেনেই পায়খানা ক্লিয়ার করার ঘরোয়া উপায়ঃ
- পানি পান করাঃ পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করতে হবে। পানি মলকে নরম করতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ নিয়মিত বয্যায়াম আমাদের পচনতন্ত্রকে সচল রাখে। এতে করে পচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত কম করে ২০ মিনিট হাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- ইসবগুলের ভুসিঃ ইসবগুলের ভুসি হলো একটি প্রাকৃতিক ফাইবার। দিনে ১-২ চামচ ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে খাবার চেষ্টা করুন।
- অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল মল ত্যাগে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১ চামচ করে অ্যালোভেরা জেল খান।
- অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পচনতন্ত্রকে সচল রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১ কাপ গরম পানিতে ১ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।
এই ছিল পায়খানা ক্লীয়ার করার ঘরোয়া উপায়। এরপরে আমরা জানবো পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম। পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে আপনারা জানতে অধীর আগ্রহী তা আমরা বুঝতে পেরেছি। তাহলে চলুন এবার জেনেনেই পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম অনেক গুলে আছে। এর ভেতরে বাংলাদেশে অধিক পরিমানে ব্যাবহৃত পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম গুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
- ল্যাকটুলোজ ট্যাবলেটঃ বৃহদান্ত্রে ল্যাকটুলেজ ট্যাবলেট ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিপাকিত হয়। বিপাকিত হয়ে গ্যাস উৎপাদন করে এবং মলকে নরম করে তোলে।
- ইসবগুলের ভুসি ট্যাবলেটঃ ইসবগুলের ভিসি ট্যাবলেট পানি শোষণ করে। এর ফলে মলের আয়তন বেড়ে যায় এবং মলকে নরম করে তোলে।
- সেনা ট্যাবলেটঃ বৃহদান্ত্রের পেশীকে সংকোচন করে মলকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে সেনা ট্যাবলেট।
- সোডিয়াম পিকোসুলফেট ট্যাবলেটঃ সোডিয়াম পিলোসুলফেট ট্যাবলেট পাকস্থলী এবং অন্ত্রের রস দিয়ে বিক্রিয়া করে। এভাবে মলকে নরম করে তোলে সোডিয়াম পিকোসুলফেট ট্যাবলেট।
- বিসাকোডিলঃ বিসাকোডিল ট্যাবলেট একটি ল্যাক্সেটিভ যা মলকে উদ্দীপিত করে। বিসোকোডিল দিনে ১-২ বার খাওয়া যেতে পারে।
- গ্লিসারিন সাপোটিজারঃ গ্লিসারিন সাপোজিটার মলত্যাগকে সহজতর করার জন্য মলদ্বারে প্রবেশ করানো হয়।
এই ট্যাবলেট ছাড়াও পায়খানা ক্লীয়ার করতে বেশ কিছু ভেজষ ঔষধ পাওয়া যায়। তবে এই ঔষধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ না নিলে অনেক ধরের অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়। তাই অবশ্যই এই ঔষধ গুলো নেয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন। এগুলোই ছিল পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম। এবার চলুন জেনেনেই পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো বেশি গুরুতর হয় না। আবার এগুলো বেশি দীর্ঘমেয়াদীও হয় না। তবে কিছুক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে।
ল্যাকটুলোজ ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
- বমি বমি ভাব হওয়া অথবা বমি হয়ে যাওয়া।
- পেট ফাঁপা।
- গ্যাস হতে পারে।
- ডায়রিয়া হতে পারে।
সেনা ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
- বমি বমি ভাব অথবা বমি হয়ে যাওয়া।
- পেট ফাঁপা।
- গ্যাস হওয়া।
- ডায়রিয়া হওয়া।
- কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া।
- শারীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
- হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে।
- রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে (হাইপোক্যালেমিয়া)।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যায়াম
পায়খানা ক্লীয়ার করার অনেক ঔষধ থাকলেও, পায়খানা ক্লীয়ার করার ব্যায়াম পায়খানা ক্লীয়ার করতে বেশ কার্যকারী। নিচে কিছু ব্যায়ামের কথা উল্লেখ করা হলো। এগুলো পায়খানা ক্লীয়ার করতে বেশ সাহায্য করে।
বর্জ্রাসনঃ এই ব্যায়াম মল ত্যাগের কাজকে সহজ করে তোলে। এই ব্যায়াম করার জন্য, প্রথমে আপনাকে পা প্রসারিত করে সোজা হয়ে বসতে হবে। তারপর, আপনার কোমড় এবং নিতম্বের পেশীগুলোকে শক্ত করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর শিথিল করুন। এই ব্যায়ামটি প্রতিদিন ৩-৪ বার করার চেষ্টা করুন।
পাইলেটসঃ পাইলেটস ব্যায়ামগুলো কোমর এবং পেটের পেশীগুলকে শক্তিশালী করে। শক্তিশালী পেশীগুলি পায়খানা বের করে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করে। পাইলেটস ব্যায়ামগুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু ব্যায়ামের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
- কাঁধের রিভার্স স্কোয়াট
- কাঁধের স্কোয়াট
- কাঁধের ক্লিন
- প্লাঙ্ক
- হাঁটা
ইতি কথা
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম আর্টিকেলটি পাবিলিশ করা হয়েছে আমাদের পাঠকদের সাস্থ্যের কথা ভেবে। আজকের এই পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম পোস্টটি পড়ে আশা করি অনেকেই উপকৃত হবে। এছাড়া, পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন।
রাইটনাওবিডি থেকে এমন আরো হেলথ পোস্ট পেতে কমেন্টে জানান।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url