দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী

দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কেননা, দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী হয়? সেই বিষয়ে সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। চলুন দেখে নেয়া যাক, দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী হয়?

পেজ সূচিপত্র: দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী

উপস্থাপনা 

দাঁত ফিলিং করার পরে অনেকের মনে এই ধরনের প্রশ্নের উদ্রেক হয় যে, দাঁতের ফিলিং করার পর তা কত বছর স্থায়ী হয়? আপনার মনেও যদি এই ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 

দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী

দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী হবে তা বিভিন্ন বিষয়ের উপরে নির্ভরশীল। সাধারণত যেসকল বিষয়ের উপরে দাঁতের ফিলিং এর স্থায়িত্ব নির্ভর করে সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। যদি আপনি ভালো মানের উপাদান দিয়ে ফিলিং করেন তাহলে ৫-১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।যাইহোক আসুন দেখে নেয়া যাক, দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী হয়?
  • ফিলিংয়ের উপাদান: ফিলিং কত বছর স্থায়ী হবে তা নির্ভর করে সম্পূর্ণরূপে ফিলিং এর উপাদানের উপরে। আপনি যদি নিম্নমানের এবং কম দামের উপাদান দিয়ে দাঁত ফিলিং করেন, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই দাঁতের ফিলিং নষ্ট হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে যদি আপনি গুণগত মান সম্পন্ন দামী ফিলিং উপাদান ব্যবহার করেন, তাহলে তা বহুদিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে। সুতরাং আপনার দাঁতের ফিলিং কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে আপনি কোন উপাদান দিয়ে ফিলিং করেছেন তার উপরে। আর তাই যদি আপনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত আপনার দাঁতের ফিলিং ভালো রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে দামী ফিলিং উপাদান দিয়ে দাঁত ফিলিং করে নিতে হবে। 
  • ফিলিংয়ের আকার: আপনার দাঁতে যদি বড় আকারের ফিলিং থাকে তাহলে সেগুলো ছোট আকারের ফিলিং এর চেয়ে কম সময় লাস্টিং করবে। কেননা বড় আকারের ফিলিং ছোট আকারের ফিলিং এর চেয়ে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং আপনার ফিলিং কতদিন স্থায়ী হবে তা অনেকটা নির্ভর করবে ফিলিং এর আকারের উপরে। 
  • ফিলিংয়ের অবস্থান: আপনার ফিলিং টি কোথায় করা হয়েছে, তার ওপরেও কিন্তু ফিলিং এর স্থায়িত্ব নির্ভর করে। যেমন আপনার ফিলিং এর অবস্থান যদি দাঁতের শেষ প্রান্তে হয়ে থাকে, তাহলে তা দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে। পক্ষান্তরে তা যদি তারা সামনের দিকে হয় অর্থাৎ যে দাঁতগুলো অত্যধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হয়, সেই দাঁতের মধ্যে যদি ফিলিং হয় তাহলে কিন্তু তা অল্প দিন স্থায়ী হবে। 
  • দাঁতের যত্ন: ফিলিং করার পরে যদি আপনি দাঁতের যত্ন নেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু ফিলিং দীর্ঘদিন পর্যন্ত অটুট থাকবে। পক্ষান্তরে যদি আপনি দাঁতের যত্ন না নেন, তাহলে কিন্তু ফিলিং খুব দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং দাঁতের যত্নের উপরে ফিলিং এর স্থায়িত্ব অনেকখানি নির্ভর করে থাকে। তাই যদি আপনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত আপনার ফিলিং অক্ষত রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিতে হবে। সুতরাং দাঁত ভালো রাখতে চাইলে দাঁতের যত্নের বিকল্প নেই। 

বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়

দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী হয়? সে বিষয় সম্পর্কিত মধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি যদি উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই, দাঁতের ফিলিং করার বিষয়ে জানতে এসেছেন।

বাচ্চাদের দাঁত তোলার জন্য কোনও বিশেষ নিয়ম নেই। দাঁত সাধারণত স্বাভাবিকভাবেই পড়ে যায়। তবে আপনি যদি নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতিগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই বিনা কষ্টে আপনার সন্তানের দাঁত উপরে ফেলতে পারবেন। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, বাচ্চাদের দাঁত তোলার সহজ উপায়। 
  • নেড়ে নেড়ে দাঁতের গোড়া নরম করুন: দাঁত যখন নড়বে তখন আস্তে আস্তে নাড়াতে হবে যেন ব্যথা না পায়। এরপর দাঁত যখন একেবারেই নরম হয়ে যাবে, তখন আলতো করে টান দিলেই সেই দাঁত উপরে উঠে আসবে। এভাবে বিনা কষ্টে এবং বিনা রক্তপথে অল্প সময়ের মধ্যেই দাঁত তুলে ফেলা যায়।  
  • দাঁত তোলার সময় সুতি কাপড় ব্যবহার করুন: দাঁতের গোড়া যখন সম্পূর্ণরূপে নরম হয়ে যাবে, তখন সেই দাঁত তোলার জন্য অবশ্যই আপনাকে সুতি কাপড় ব্যবহার করতে হবে। কেননা আপনি যদি সরাসরি হাত দিয়ে উপরে ফেলার চেষ্টা করেন তাহলে কিন্তু হাত পিছলে যেতে পারে। হাত যেন না পিছলে যায় সেজন্য অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার সুতি কাপড় ব্যবহার করতে হবে। 
  • শিশুর ভয় দূর করুন: দাঁত তুলতে গিয়ে যেন শিশু ভয় না পায় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি কোন শিশু দাঁত তোলার ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে অবশ্যই তাকে যেকোনো ভাবে আনন্দিত করতে হবে এবং তার ভয় দূর করতে হবে। প্রয়োজনে তাকে কোন কিছু উপহার দেওয়া যেতে পারে, অথবা কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন। এক কথায় তার ভয় দূর করতে হবে এরপরে দাঁত তুলতে হবে।
  • ব্যাথা নাশক ঔষধ: যদি কোনো কারণে দাঁত তুলতে গিয়ে দাঁতে ব্যথা অনুভূত হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ব্যাথা নাশক ঔষধ ঔষধ খাওয়াতে হবে। এবং যত দ্রুত সম্ভব দাঁতের ব্যথা দূর করে ফেলতে হবে। আর দাঁতে ব্যথা হলে শক্ত জিনিস চিবানো থেকে বিরত রাখতে হবে। 
  • নরম খাবার খেতে দিন: শিশুর দাঁত তোলার পরে দুই একদিন তাকে নরম জাতীয় খাবার খেতে দেওয়া ভালো। কেননা দাঁত ওঠার জায়গাটি শক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত যদি তাকে শক্ত কোন খাবার খেতে দেন আর সেই শক্ত খাবার যদি তাদের গোড়ায় গিয়ে লাগে তাহলে ব্যথা হতে পারে। তাই কিছুদিন শক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। 
  • প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান: বাসায় দাঁত তুলতে যদি কোন ধরনের সমস্যার সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দাঁত উপরে ফেলতে হবে।

কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো

দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী হয়? আশা করি তাদের জেনেছেন। উপরে কেননা এ বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় এবং কার্যকর টুথপেস্ট গুলোর তালিকা নিচে তুলে ধরা হয়েছে। নিম্ন বর্ণিত টুথপেস্ট গুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি টুথপেস্ট আপনি ব্যবহার করতে পারেন। 
  • সেনসোডাইন।
  • কোলগেট ম্যাক্স ফ্রেশ।
  • ক্লোজআপ রেড হট।
  • প্যারোডনটাক্স কমপ্লিট প্রোটেকশন।
  • ডাবর রেড পেস্ট।
  • ম্যাজিক টোটাল ক্লিন।
  • গ্যানোঝি টুথপেস্ট।
  • মডার্ন হারবাল টুথপেস্ট।
  • ডাবর হারবাল টুথপেস্ট।

উপসংহার

আপনি যদি উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে, দাঁতের ফিলিং করার কত বছর স্থায়ী হয়? তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি আশা করি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে উপকারী বলে মনে হয় তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url